দেশের সবাইকে এখন অত্যন্ত ধৈর্য ধরে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পা বাড়াতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশ্যই কাজ করার জন্য এসেছে। সেই কাজ করার সুযোগ তাদের দিতে হবে। আমরা অবশ্যই যৌক্তিক সময় দিতে চাই। তবে নির্বাচন ছাড়া সম্ভব নয়। নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সবাই যেন ভোট দিতে পারে- সেটাই সবাই চায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৬ আগস্ট আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন নির্বাচন চাই না, যে নির্বাচনের ফলে আবার সেই আগের অবস্থা ফিরে আসে। তাহলে সেটা কখনোই জনগণ মেনে নেবে না। সে জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি, জনগণ অপেক্ষা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, সেই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবশ্যই একটা নির্বাচন হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশ স্টেট যাতে কেউ না বানাতে পারে, সেই অবস্থা তৈরি করবেন। আমরাও পুলিশ স্টেটে পরিণত হতে চাই না। এটা যদি তারা করেন, তাহলে সেখানে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয় ঘেরাও করে আনসার ও পোশাকধারী কিছু লোকজন। তারা গোলযোগ সৃষ্টি করে। ছাত্ররা সেটাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। এটা কিন্তু অশনিসংকেত। পরাজিতরা এখন আবার বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। সবাই সতর্ক থাকবেন।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কাজী জাফরের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।