মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বশেষ টেস্ট দলে ছিলেন না। টি-টোয়েন্টিতেও নেই। শুধু ওয়ানডে মানে ৫০ ওভারের ফরম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে এ বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নিয়েছেন। এরপর জাতীয় দলের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চেমসফোর্ডে ওয়ানডে সিরিজেও দলের বাইরে ছিলেন।
কিন্তু তারপরও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক কথা বার্তা। তিনি বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কি, থাকবেন না- তা নিয়ে রাজ্যের জল্পনা-কল্পনা।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এবং হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও আকার-ইঙ্গিতে রিয়াদকে বিশ্বকাপে বিশেষ বিবেচনায় রাখার কথা বলেছেন। হোক অনেক আগে, সেই ২০১৫ বিশ্বকাপ (২) এবং ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (১) ৩টি শতরান আছে তার।
ধারণা করা হচ্ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে তাকে নেয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিয়াদের সর্বশেষ অবস্থা কি, তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। এরপর তারপর অবস্থ বুঝে ব্যবস্থা। মানে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেয়া বা না নেয়ার সিদ্ধান্ত।
এদিকে নির্বাচকরা এখন পর্যন্ত রিয়াদকে নিয়ে একটি কথাও বলেননি। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এবং হাথরুসিংহের মত মানুষও আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াদকে নিয়ে কথা বলেছেন। তাকে নেয়া হবে না, বা নেয়ার সম্ভাবনা নেই- এমন কথা বলেননি তারা; কিন্তু নির্বাচকদের মুখ থেকে এখন পর্যন্ত একটি কথাও বের হয়নি এ বিষয়ে।
বিশ্বকাপতো বহুদূর, রিযাদকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে আকার ইঙ্গিতেও নির্বাচকদের মুখ থেকে কোন কথা বেড় হয়নি। তবে কি রিয়াদ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে থাকবেন না?
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তাই। কারণ, একদম ভেতরের খবর- এবার হজ করতে যাচ্ছেন রিয়াদ এবং আগামী ২২ জুন তার হজের ফ্লাইট। হজ শেষে তিনি ফিরবেন ৫ জুলাই।
যদি তাই হয়, তাহলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলা সম্ভব হবে না তার। কারণ তিনি যেদিন ফিরবেন সেদিনই আফগানিস্তানের সঙ্গে চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডে।
রিয়াদের ঘনিষ্ট সূত্রের খবর, নির্বাচকদের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তার অপেক্ষায় রয়েছেন রিয়াদ। নির্বাচকরা যদি তাকে ওয়ানডে সিরিজে দলে নেয়ার কথা জানান, তাহলে হয়তো হজ ফ্লাইট বা সিডিউল পরিবর্তন হবে। না হয় ২২ জুন হজে চলে যাবেন তিনি।
কিন্তু জানা গেছে, নির্বাচকরা এখনো কিছুই জানাননি তাকে। কাজেই ধরে নেয়া যায়- আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকছেন না রিয়াদ।