জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ নেই, নেই চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা। আর বেসরকারি হাসপাতালে টাকা গুণতে গুণতে ফতুর হচ্ছে রোগীর পরিবার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের যেনো মাথা ব্যথাই নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি।
তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন শুধু মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে। স্প্রে করা ওষুধে মশা মরছে কিনা তাও দেখার কেউ নেই। জবাবদিহিতা থাকলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতো না। ডেঙ্গু নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতা সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা সাতশো ছাড়িয়েছে। যা ডেঙ্গুতে মৃত্যুর এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সাধারণ মানুষের ধারণা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সঙ্কুলান হচ্ছে না। স্যালাইনের অভাবে হাহাকার উঠেছে রোগীর স্বজনদের মাঝে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- স্যালাইনের কোন অভাব নেই, অথচ হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন নেই। ফার্মেসিতে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো টাকায়। রোগীদের অভিযোগ নার্সদের মাধ্যমেই চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। ২৪ ঘণ্টায় একবারও ডাক্তারের দেখা মেলেনা সরকারি হাসপাতালে।
অপরদিকে, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা ও সেবা পেলেও গুণতে হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা কেবিন ভাড়া, আইসিইউ ভাড়া, ওষুধ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিদর্শন বাবদ গুণতে হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। তবে, হাসপাতাল ভেদে এই খরচ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণ মানুষ যেনো স্বাভাবিক চিকিৎসা পাবার অধিকার হারিয়েছে।