সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী সংক্রান্ত বিধান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিদ্যমান বিধি বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের আইন আছে।
কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নেই। আইন থেকেও তার বাস্তবায়ন না হওয়াটা দুঃখজনক। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ১৩(১) (২) বিধিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ (স্থাবর-অস্থাবর) অর্জন ঠেকাতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দেশিকা বা নীতিমালা করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ১৩(১) (২) বিধি অনুসারে অবিলম্বে যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (স্থাবর-অস্থাবর) সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং তা আদালতে দাখিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সরকারি চাকুরে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ঠেকানোর প্রয়োজনীয় নির্দেশ চেয়ে ১ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশ। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।