অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিও এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। তাকে প্রধান করে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। এই সরকারের একটি প্রাথমিক তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। খুবই দ্রুত এই তালিকাটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। ৬ আগস্ট রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই সব কথা বলেন।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, আমরা সমন্বয়কবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটি আমাদের সঙ্গে সম্মানিত শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান একত্রে বঙ্গভবনে এসেছিলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ছাত্র ও নাগরিক অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ থেকে যে সরকারের প্রস্তাব করা হবে, সেই প্রস্তাবিত সরকারই চূড়ান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে সেই নিশ্চয়তা আমরা বঙ্গভবন থেকে পেয়েছি। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নিলেও এই সরকারে অন্য কারো নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। খুবই দ্রুত এই তালিকাটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, তবে সেটা প্রাথমিক। দ্রুত সেটা চূড়ান্ত করা হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই তালিকাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।