২১ নভেম্বর ২০২৪, এখন সময় সন্ধ্যা ৬:২৯ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
টাইমওয়াচ ডেস্ক
আগস্ট ১৬, ২০২৪ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী হতে যে সংখ্যক সিনেটরদের সমর্থন দরকার ছিল, তা তিনি পেয়েছেন। ফলে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাইল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন। আজ ১৬ আগস্ট পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। এর আগে ১৪ আগস্ট থাইল্যান্ডের সংবিধানিক আদালত স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এরপর দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সেই অনিশ্চয়তা দূর করতে শেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। অবশেষে পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত হয়।
পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপরও দেশটিতে তার প্রভাব রয়ে যায়। পেতংতার্ন তার পরিবারের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছাড়াও তার পরিবার থেকে সোমাচাই ওংসোয়াট ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
সোমাচাই ওংসোয়াট ২০০৮ সালে অল্প কয়েকদিন; আর ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুজনই চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।
পেতংতার্ন এর আগে কখনো সরকারের কোনো দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি এমন সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন যখন দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। টানা ১৫ বছরে বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর গত বছর দেশে ফিরে আসেন তার বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তবে তাকে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করে আসতে হয়।
পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। পেতংতার্ন হবেন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া তিনি হবেন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই শিল্প গোষ্ঠীর উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত। পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র : আল-জাজিরা ও রয়টার্স

সর্বশেষ - আইন-আদালত