আগুন, ভূমিকম্প, বজ্রপাত, সাইবার হামলা ও বৈদুতিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষে নিরাপত্তা সচেতনতা সপ্তাহ পালন করছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২৮ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোববার ‘প্রতিরোধ অপেক্ষা প্রতিকার উত্তম’ শীর্ষক স্লোগানে ২৮মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম আউলিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. ক. মো. শামিমুর রহমান (অব.), বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা এবং ডিএমডি কবির আহমেদ, ডিএমডি এবং সিএফও হারুনুর রশীদসহ ব্যাংকটির সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশের শাখা ও উপশাখার কর্মকর্তারা অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক লে. ক. মো. শামিমুর রহমান (অব.) বলেন, আগুন, ভূমিকম্প, বৈদুত্যিক দুর্ঘটনা ও সাইবার হামলার প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে সচেতনতা। যেকোন দুর্যোগ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় পৃথক পৃথক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এনআরবিসি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মশালার মাধ্যমে যেকোন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, ব্যাংক জনগণের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের যে স্থায়ী সম্পদ সেটিও জনগণেরই সম্পদ। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানমাল, ব্যাংকের সব ধরনের সম্পদ ও গ্রাহকদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আগুন ও ভূমিকম্পের মত দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
এনআরবিসি ব্যাংকের সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালায় কাঠামোগত নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সব বিভাগীয় শাখাসমূহে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাথে সমন্বয় করে অগ্নি নির্বাপণ এবং জরুরি বহির্গমন মহড়া, ভূমিকম্প সচেতনতা এবং বহির্গমন মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সব শাখা এবং উপ-শখাসমূহে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ মহড়া আয়োজন করা হবে।