বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে ২০ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে)। এই অর্থ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, নারীদের প্রসবপূর্ব পরিষেবা, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে।
৩১ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিশ্চিতসহ দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে ২০ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যাতে ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের কারণে সাধারণ অসুস্থতার চিকিৎসা, প্রতিরোধ করা যায়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এ অর্থ ব্যয় হবে। ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। কিন্তু শহরাঞ্চলে সীমিত জনস্বাস্থ্য পরিষেবা রয়েছে। তাই, দরিদ্র মানুষ এবং বস্তিবাসী প্রায়ই আরও ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হয়। অধিকন্তু, উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত নগরায়নের ফলে ডেঙ্গু, সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধিসহ নতুন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। এসব রোগ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি ডলার অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রকল্পটি নারীদের জন্য প্রসবপূর্ব পরিষেবাগুলোকে উন্নত করবে, যার লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখের বেশি নারী গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারটি চেকআপ গ্রহণ করবে। এটি হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং এবং প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের ফলোআপকেও সমর্থন করবে।
প্রকল্পটি পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং প্রতিরোধমূলক পরিষেবাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেবে। যেমন মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে এবং মানব স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ু দূষণের প্রভাবগুলো কমাতে সাহায্য করবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য প্রকল্পটি একটি জলবায়ুভিত্তিক ডেঙ্গু প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং প্রাদুর্ভাবের ক্ষমতা চালু করতে ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ইফফাত মাহমুদ বলেন, মশাবাহিত এবং সংক্রামক রোগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। যেহেতু মশার জীবনচক্র জলবায়ু পরিস্থিতির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়, প্রকল্পটি মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।