নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিশেনে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে নির্বাচিত হন তিনি। পরে সংসদে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনির্বাচিত স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এদিন বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্ব দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এবং ডেপুটি স্পিকার হিসাবে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করে।
২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন শারমিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা পীরগঞ্জের আসনটি নোয়াখালীর মেয়ে শিরীনকে ছেড়ে দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে শিরীন শারমিনকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ।
পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। তার মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার নানা সিকান্দার আলী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি।
১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে ওই স্থান অটুট রেখেই এলএলএম ডিগ্রি নেন শিরীন শারমিন। ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।
১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন শিরীন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন।