timewatch
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, রাত ১১:০৪ মিনিট
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন
শিরোনাম

২০ বছর আগেই শনাক্ত করা যাবে ক্যান্সারের লক্ষণ

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
এপ্রিল ২, ২০২৪ ৪:১৫ অপরাহ্ণ

মরণব্যাধি ক্যান্সার নিয়ে সুখবর দিলেন গবেষকরা। তারা দাবি করেছেন, উপসর্গ নিয়ে জেঁকে বসার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই ক্যান্সারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে।

যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সুখবর দিয়েছেন। গবেষণাটি করেছে ক্যামব্রিজের আর্লি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট।

সংশ্লিষ্ট গবেষকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে কোষের প্রাথমিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র পরিবর্তন শনাক্ত করা যাবে। কোনও কোষ টিউমার হয়ে আত্মপ্রকাশ করার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কোষটি যাতে টিউমারে রূপান্তরিত না হয় বা ক্যান্সার না ছড়ায়, সেজন্য চিকিৎসার অনেক সময় পাবেন চিকিৎসকরা।

আর্লি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ক্যামব্রিজের একটি নতুন ইনস্টিটিউটটি। এটি এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পেয়েছে। তাও পেয়েছে সম্প্রতি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ অর্থ দান করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেবেকা ফিটজেরাল্ড বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্যান্সারের জীবাণু দেহে বাসা বেঁধে একপর্যায়ে পৌঁছে আত্মপ্রকাশ করে। যখন টিউমার আকারে প্রকাশ পায় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। তাই ক্যান্সার শনাক্ত করতে আমাদের পরীক্ষা-পদ্ধতিটাই আমূল বদলে ফেলতে হবে। এমন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যা ক্যান্সার জীবাণু সুপ্ত পর্যায়ে থাকতেই শনাক্ত করতে পারবে।

ফিটজেরাল্ড ও তার দল নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালানোর জন্য ‘সাইটোস্পঞ্জ’ উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে স্পঞ্জটি বড়ির মতো গিলে ফেলতে হয়। পেটে একটি স্পঞ্জের মতো প্রসারিত হয়। এরপর এটি খাদ্যনালি থেকে পথিমধ্যে থাকা কোষগুলো সংগ্রহ করে। এমন সব কোষকে সংগ্রহ করে যেগুলোতে টিএফএফ৩ নামক প্রোটিন থাকে। টিএফএফ৩ এমন একটি প্রোটিন যা কেবল ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় রয়েছে এমন কোষে পাওয়া যায়।

আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি হল রক্ত পরীক্ষা।

ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতা জেমি ব্লান্ডেল এ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে তারা গর্ভাশয় ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া প্রায় দুই লাখ রক্ত নমুনা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এখানে ১০ থেকে ২০ বছর আগে জমা দেওয়া হয়েছে এমন নমুনাও রয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে যাদের পরবর্তীতে ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের হয়নি তাদের আলাদা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের পরবর্তীতে লিউকেমিয়া হয়েছে তাদের রক্তের জেনেটিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট।

হারবির দেব নামের গবেষক দলের আরেক নেতা পুরুষদের প্রোস্টেট বা মূত্রথলির ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। এ পরীক্ষার নাম বায়োমার্কার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সর্বশেষ - ধর্মতত্ত্ব