নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারাখানায় আগুনের ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ নিখোঁজ আছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কেউ কারখানার শ্রমিক নন বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের। কারখানায় লুটপাট কিংবা অন্য কোনো কাজে তারা এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানার সামনে ২৬ আগস্ট দুপুর থেকে নিখোঁজ মানুষের স্বজনেরা ভিড় জমাতে থাকেন। তখন ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৭৩ জনের নিখোঁজের তালিকা করে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, ২৫ আগস্ট রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে গাজী টায়ার কারাখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। ভবনটির ভেতরে ১৭৩ জন আটকা পড়ে আছে বলে স্বজন ও এলাকাবাসী দাবি করেছেন। আটকা পড়াদের জন্য তাদের পরিবার-পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে দাবি করেন।
ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কতক্ষণ লাগবে এটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।