১০ মার্চ ২০২৫, এখন সময় দুপুর ১:১৩ মিনিট
শিরোনাম
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি
  6. খুলনা
  7. খেলাধূলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চট্রগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. ধর্মতত্ত্ব
  14. প্রকৃতি-পরিবেশ
  15. প্রবাস জীবন

নীতি সুদ হার ও ভ্যাটের চাপে অস্থির দেশের অর্থনীতি

প্রতিবেদক
এ কে নাহিদ
মার্চ ৯, ২০২৫ ৩:২৫ অপরাহ্ণ

সময়ের পরিক্রমায় আমরা দেখে আসছি যে, রমজান মাস এলেই দেশের নিত্য-প্রয়োজনীয় সব ধরণের পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। ফলে এবারও বাড়বে, এটি অমূলক কিছু নয়। পাশাপাশি মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রমজান শুরু হবে। এপ্রিল মাসে রমজানের বাকি অর্ধেক পড়বে। এই সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই এমনিতেই বাজারে সবজি ও মাছের সরবরাহ কমে যায়। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রমজান তথা রোজা। দেশে প্রায় তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এর সঙ্গে এখন বিশেষ রাজনৈতিক বাস্তবতা। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সাধারণত অর্থনীতির অধোগতি দেখা যায়। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও নীতি সুদহার বাড়ালে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলেই শঙ্কা। আর এইসব নিয়েই এবারের টাইমওয়াচ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন; লিখেছেন এ কে নাহিদ
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৬। এই হার গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুধু তা-ই নয়, এই সময় শিল্পের প্রয়োজনীয় মধ্যবর্তী পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির ‘এলসি সেটেলমেন্ট’ কমেছে ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ ঋণপত্রের নিষ্পত্তি হয়েছে কম।
আমরা জানি, অর্থনীতির চিরাচরিত নিয়ম হলো- ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমলে বাজারে জোগান কমে দাম বেড়ে যায়। অন্যদিকে মূলধনি ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি কমলে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও সক্ষমতা কমে যায়। এই সবকিছুর প্রভাব পড়ে প্রবৃদ্ধির ওপর। বিশ্বব্যাংকের মতে, চলতি অর্থবছরে যা ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামবে। সেটা হলে তা হবে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি, কেবল কোভিড-১৯ এর ২০২০-২১ অর্থবছর বাদে। এই পরিস্থিতিতে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ ভাগে মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত পাঁচ মাসে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট করে তিন দফা নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে, বর্তমানে যা ১০ শতাংশ। নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হচ্ছে না বরং এর প্রভাবে বাজারে সব ধরনের ঋণের সুদহার বেড়ে গেছে। বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদাও তলানিতে নেমে এসেছে, অর্থনীতিতে যার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এখন একধরনের স্ট্যাগফ্লেশন (নিম্ন প্রবৃদ্ধি+ উচ্চ মূল্যস্ফীতি+ উচ্চ বেকারত্ব) চলছে অর্থনীতিতে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী মুদ্রানীতিতে কী পদক্ষেপ নেবে, সেটাই দেখার বিষয়। তবে অনেকেই মনে করেন, উন্নত বিশ্বে সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলেও আমাদের দেশে সম্ভব নয়। যেসব দেশের ৯০ শতাংশই ভোক্তাঋণ, সেখানে তা সম্ভব হতে পারে। তারা বাড়ি, গাড়িসহ নানা কাজে ঋণ নেন।

ফলে সেসব দেশে সুদহার বাড়িয়ে ভোগব্যয় কমানো যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ৮৫ শতাংশ ঋণই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নেওয়া হয়। এখানে সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সরকারি তথ্যেই যার প্রমাণ পাওয়া যায়। উল্টো বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি তলানিতে ঠেকেছে অর্থাৎ দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব। পাশপাশি বর্তমানে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে, এত খারাপ অবস্থা এর আগে দেখা যায়নি। এখন ছোট থেকে শুরু করে বড় সব শ্রেণির ব্যবসায়ী নগদ প্রবাহের ঘাটতিতে আছেন। সামনে রোজা ও দুটি ঈদ, কর্মীদের বোনাস দিতে হবে, তার সঙ্গে খেলাপি ঋণের নতুন নিয়ম-সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হলে রীতিমতো অর্থনীতির বিপর্যয় হতে পারে বলে দেশের বিশিষ্টজন মনে করেন।
নীতি সুদহার বাড়িয়ে বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। পণ্যের সরবরাহ না বাড়লে দামও কমবে না। ভোগ্য-পণ্য আমদানির বাজারে আরও প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসতে হবে; তা-না হলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে না। এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে। খোদ বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, সাময়িক মজুতদারি হয়েছে কিন্তু এরপরও দাম কমছে না। সরকার এখন আমদানি বৃদ্ধি করে চালের দাম কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও নীতি সুদহার বাড়ালে আমদানি ব্যয় আরও বেড়ে যাবে। ডলারের বিনিময় হারও কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে গভর্নর আহসান মনসুর ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এতে শিগগিরই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতি সুদহার বাড়িয়ে এখন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। মূল্যস্ফীতির মূল কারণ নিরূপণ না করে এভাবে নীতি সুদ বাড়িয়ে লাভ হয়নি। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মূল কারণ চাহিদাজনিত নয়, বরং সরবরাহজনিত।
নীতি সুদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্যাট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে নীতি সুদ বৃদ্ধির ফল পাওয়া যাচ্ছে না। মুদ্রানীতি, রাজস্ব নীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ের মাধ্যমে এগোতে হবে। তা-না করে কেবল নীতি সুদ বাড়ানো হলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে; এর জেরে প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে। বাস্তবতা হলো, চাহিদা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর নীতি কাজে আসেনি। নীতি সুদহার বাড়ানো হবে আবার ভ্যাটও বাড়ানো হবে, এই পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি কমবে না। এতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হবে। দরকার সামগ্রিক চাহিদা বাড়ানো। এমনিতেই দেশে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবারও নীতি সুদহার বাড়ালে চাহিদায় আরও প্রভাব পড়বে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশে। দ্বিতীয় প্রান্তিকেও যে এ হার তেমন একটা বাড়বে, তার লক্ষণ নেই। সরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যানেই এ চিত্র উঠে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ হার গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুধু তা-ই নয়, এই সময় শিল্পের প্রয়োজনীয় মধ্যবর্তী পণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিও কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র বা এলসি খোলা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায়

২৬ শতাংশ কমেছে। একইভাবে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ। মূলধনি যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি কমার অর্থ, দেশে নতুন বিনিয়োগ কমেছে। ২০২৩ সালের জুলাই-নভেম্বরের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির ‘এলসি সেটেলমেন্ট’ কমেছে ১৩ শতাংশ। সরকারের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে এনবিআর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে; আগের বছর একই সময়ে যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৬৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগের নেওয়া ঋণের ৫৪ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এতে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকার ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে সেটা ছিল ঋণাত্মক ১ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিম) মুনাফার হার বাড়ানো হচ্ছে। সঞ্চয়পত্রের ধরন অনুযায়ী সুদহার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ সরকার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে আরও বেশি অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। এসব পরিসংখ্যান দেওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার যে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে, তার কারণ অনুসন্ধান। বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ভ্যাট বাড়িয়েছে। সে কারণের পাশাপাশি মূল বিষয় হলো, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৩০ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। এমনকি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা কমেও গেছে। বাস্তবতা হলো- পৃথিবীতে যেসব দেশের কর-জিডিপির অনুপাত সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। গত ১৫ বছরে দেশের জিডিপি কয়েক গুণ হলেও রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত বাড়েনি বরং কমেছে। এর মধ্যে আবার প্রত্যক্ষ কর বা আয়করের অনুপাত কম। সে জন্য ভ্যাট বাড়িয়ে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা। কিন্তু সমস্যা হলো, ভ্যাট ধনী-গরিব সবার জন্যই সমান। ভ্যাট বৃদ্ধি করে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অন্যায্য। কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকে এ সমস্যা প্রকট হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে তা আরও তীব্র হয়েছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপদ বেড়েছে। আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির শর্তের কারণে সরকারের ঋর্ণুকি কমানো হচ্ছে। এতেই চাপে পড়ছে সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ। এখন মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হলেও প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেকারত্বের সমস্যা।
দেশে গত এক দশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধির মধ্যেই কাঙ্খিত হারে কর্মসংস্থান হয়নি। এ নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের ভাষ্য, এটা ছিল কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি। এখন প্রবৃদ্ধির হার দুইয়ের নিচে নেমে এসেছে। এ বাস্তবতায় কর্মসংস্থান পরিস্থিতির যে আরও অবনতি হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য দেখে বেকারত্ব পরিস্থিতির বাস্তবতা বোঝা যায়। অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকার এখনো নেয়নি। আগে রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে ধনীদের তোষণ করার নীতির সমালোচনা হতো, শতাধিক পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও সেই প্রকৃতির, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক সংস্কার পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি অস্থির হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই বর্তমান সরকারকে অর্থনীতির এই অস্থিরতাকে দূর করার জন্য সর্বাগ্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুরে নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে

‘বৈধপথে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে’

ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকা নাইটিঙ্গেল এর বন্ধু দিবস উদযাপন

জাতীয় রপ্তানি ট্রফির স্বর্ণপদক পেল ওয়ালটন

আর্ন্তজাতিক নদী দিবস উপলক্ষে শেরপুরে গ্রীণ ভয়েস এর মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান

সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব সালাহউদ্দীন জাকীর ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ইনার হুইল ক্লাব অব ঢাকা নাইটিঙ্গেল এর বন্ধু দিবস উদযাপন

আগামী ৪ আগস্ট দেশের ১২ সিটি ও নরসিংদী পৌর ছাড়া সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিয়ে প্রতিবেদনে পুরস্কার দেবে ‘সমষ্টি’