আজ সোমবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে— যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে। সেই সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু জনজীবন। রাত থেকে টিপ টিপ করে ঝরছে কুয়াশা। তেঁতুলিয়ায় আজ নিয়ে টানা পাঁচ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সপ্তাহজুড়ে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রীতে নেমেছিল। গতকালের মতো আজ সোমবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে— যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।
আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ায় কুয়াশা কেটে যায়। ডিসেম্বরের বাকি দিনগুলোতে শীতের তিব্রতা আরও বেড়ে গিয়ে তাপমাত্রা কমে মুদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলছে আবহাওয়া অফিস।
ভোর থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবহন। রাস্তাঘাটসহ ক্ষেতের জমি ভিজে গেছে। শীতের সকালে বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ। মাঝে মাঝে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে নামে শীত আর রাতভর কনকনে ঠাণ্ডায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করে এখানকার অসহায় দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। তবে সূর্য উঠলে কুয়াশা কেটে গিয়ে ফিরে আসে স্বস্তি।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিতে তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে আসতে পারে। সেই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে নদীপাড়ের দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে আছেন। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, শীত মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ৩০ লাখ টাকার শীতবস্ত্র জেলার পাঁচ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে।


















