নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বুধবার দেশটির অকল্যান্ড দ্বীপের কাছে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। তবে এর জন্য কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ বলে জানিয়েছে। তবে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। বিভিন্ন সংস্থার পরিমাপে ভূমিকম্পের মাত্রায় ভিন্নতার উদাহরণ অবশ্য নতুন নয়।
নিউজিল্যান্ডের জিওনেট মনিটরিং এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৩ কিলোমিটার গভীরে। এর আঘাতে দেশটির মূল ভূখণ্ডে তাৎক্ষণিক সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া যায়নি।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড দ্বীপটিতে জনবসতি খুবই কম।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটতম বড় শহর ইনভারকারগিলের সিটি কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বা অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ১৬ মার্চ নিউজিল্যান্ডে আঘাত হানে ৭ দশমিক ১ মাত্রার প্রবল শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প। এর জেরে দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
ইউএসজিএস জানায়, স্থানীয় সময় ১৬ মার্চ বিকেলে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প ঘটে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল কারমাডেক দ্বীপ। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। কেন্দ্র ছিল নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে এক হাজার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে।
ভূমিকম্পের পরপরই এর উৎপত্তিস্থল থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র। সংস্থাটি জানায়, কারমাডেক দ্বীপের কোনো কোনো জায়গায় শূন্য দশমিক তিন মিটার থেকে ১ মিটার উঁচু সুনামি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে পরে সেই সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। এ ভূমিকম্পেও কারও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।