নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন স্কুলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে সম্প্রতি আয়োজিত ‘দ্য বাংলাদেশ সেফগার্ডিং সামিট’এর আলোচনায় স্কুল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড গঠন ও চর্চা নিশ্চিতের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ২৪ সেপ্টেম্বর এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় দেশের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে প্রতিটি স্কুলে নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে হেইলিবেরি ভালুকা সহ অংশগ্রহণকারী অন্যান্য স্কুল।
আয়োজনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেইলিবেরি ভালুকা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক সাইমন ও’গ্রেডি; ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া; এবং যুক্তরাজ্যের সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্সের সিইও এমিলি কনস্ট্যান্টাস। বক্তারা স্কুলগুলোতে সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে একমত হন, এবং ‘বি-সেফ’ (বাংলাদেশ সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স ফর এডুকেটরস) সংগঠনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তারা দেশভিত্তিক জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণে সরকারি পর্যায়ে কার্যরত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স’-এর সহায়তায় নীতি ও সেরা অনুশীলন নিশ্চিতেও সম্মত হন।
দেশের শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার দায়িত্ববোধ থেকে সামিটে অংশগ্রহণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হেইলিবেরি ভালুকা। এ সময় প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক সাইমন ও’গ্রেডি’র প্রেজেন্টেশনে প্রতিটি স্কুলকে ‘নিরাপদ, আনন্দময় ও সফল’ করে তোলার আহ্বান ফুটে ওঠে। উল্লেখ্য, হেইলিবেরি ভালুকা ইতোমধ্যেই দেশের একমাত্র স্কুল হিসেবে দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স’-এর ‘সেন্টার ফর সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
সাইমন ও’গ্রেডি বলেন, “শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধন করতে চাইলে পড়াশোনার সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষাখাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সেরা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা প্রতিটি স্কুলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না”।
তিনি আরও যোগ করেন, “সবার মাঝে সেরা নীতিগুলো ছড়িয়ে দেয়ার যাত্রায় দক্ষতার প্রতীক হিসেবে আমরা ‘দ্য সেফগার্ডিং অ্যালায়েন্স’ এর ‘সেন্টার ফর সেফগার্ডিং এক্সেলেন্স’ স্বীকৃতি অর্জন করেছি। বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য”। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।